“জীবিত মৃতদের কবরস্থান”: এল সালভাদরের ভয়ঙ্কর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২৫২ ভেনেজুয়েলান
CECOT মেগা‑কারাগারে ১২৫ দিনের অমানবিক বন্দিত্বের পর বন্দীদল বিনিময় চুক্তিতে মুক্তি; নির্যাতন, যোগাযোগ‑বঞ্চনা ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার বিস্তারিত।
কারাগারের নামই আতঙ্ক
CECOT (Centro de Confinamiento del Terrorismo)—এল সালভাদরের কুখ্যাত ‘মেগা‑কারাগার’। আন্তর্জাতিক মহলে এটি পরিচিত “Cemetery of the Living Dead” নামে—বাংলায় যার অর্থ, “জীবিত মৃতদের কবরস্থান”। বন্দিদের ভাষ্য, প্রহরীরা জানিয়ে দিত: “এখান থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ হলো মৃত্যু।”
১২৫ দিনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা
- দিনের পর দিন আলোহীন সেলে আটকে রাখা;
- শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন;
- পরিবার বা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ না দেওয়া;
- অনেকের আত্মহননের প্রবণতা ও তীব্র মানসিক আঘাত;
- শুধু ট্যাটু বা চেহারার ধরনে ‘গ্যাং‑সদস্য’ সন্দেহে আটক।
মুক্তির পথ কীভাবে?
ভেনেজুয়েলার ২৫২ নাগরিক যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত হয়ে CECOT‑এ বন্দি ছিলেন। চার মাসেরও বেশি সময় পর ১৮ জুলাই ২০২৫‑এ তারা মুক্তি পান—যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে বন্দীদল বিনিময় চুক্তির অধীনে। তবে তাদের মানসিক আঘাত ও ট্রমা রয়ে গেছে প্রবল।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, CECOT আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের চরম লঙ্ঘন। অপরাধ প্রমাণ ছাড়াই সন্দেহের ভিত্তিতে হাজারো মানুষকে বছরের পর বছর বন্দি রাখার প্রথা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করে এই জেলে পাঠানো বহু ক্ষেত্রে ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
নিউজ কার্ড প্রিভিউ
“জীবিত মৃতদের কবরস্থান”: CECOT মেগা‑কারাগার থেকে মুক্তি ২৫২ ভেনেজুয়েলান
১২৫ দিনের অমানবিক বন্দিত্বের পর বন্দীদল বিনিময়ে বাড়ি ফেরা; নির্যাতন‑বঞ্চনার বর্ণনা ও বিশ্বজুড়ে সমালোচনা।
Comments